গত ২২ জুন কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত দৈনিক বাঁকখালী পত্রিকার শেষ পৃষ্টায় ও কক্সবাজার অনলাইন পত্রিকায়, চকরিয়ায় প্রতিমা বালা নাথ নামের সংখ্যালঘু পরিবারের এক বৃদ্ধ মহিলার ক্রয়কৃত ৩০ বছরের ভোগ দখলীয় বিপুল পরিমাণ জায়গা জোরপূর্বক দখলে নিয়ে রাতারাতি ইমারত নির্মাণ কাজ চালাচ্ছে প্রভাবশালীরা শীর্ষক সংবাদটি আমাদের দৃষ্টিগোছর হয়েছে। সংবাদে প্রতিমাবালার উপর হামলা ও শারিরিক নির্যাতনের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে, যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দ্যেশ্য প্রণোদিত। মূলত উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের বগাচতর মৌজায় নূর বাহার বেগমের নামীয় ৮৩নং বি.এস খতিয়ানের ১৯নং দাগ হইতে দলিলমূলে আমরা ১১.৩৫ শতক ও বি.এস রেকর্ডীয় মালিক আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরীর ওয়ারিশ হইতে কবলা দলিল মূলে ১৪.৪৩ শতক জমি ক্রয় করি। উক্ত জমি মূল মালিক হইতে আমরা দখল বুঝিয়া নেওয়ার পর জমিতে ঘর নির্মাণ করে বাউন্ডারি ওয়াল দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে দীর্ঘবছর ধরে ভোগকরে আসছি। ক্রয়কৃত জমি আমাদের নামে চকরিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি’র) আদালতে ৩৮৯নং খতিয়ান সৃজন করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের ক্রয়কৃত ঐ জমির প্রতি লোলুপ দৃষ্টি পড়ে স্থানীয় মৃত রঞ্জিত নাথের স্ত্রী প্রতিমা বালা নাথের। তবে ৮৩নং বি.এস খতিয়ানে প্রতিমা বালা নাথের নামে খতিয়ানের ৬৭ নং দাগে ২০ শতক ও ১৯নং দাগে ২০ শতক জমি রয়েছে। এসব জমি তার নামে খতিয়ান ও সৃজিত হয়েছে। কিন্তু প্রতিমা বালা তার ৬৭নং দাগের ২০ শতক জমি বাদ দিয়ে ১৯নং দাগে পুরো তার ৪০ শতক জমি রয়েছে এমন দাবীতে চকরিয়া থানায় আমাদের বিরুদ্ধে একের পর এক, একাধিকবার মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করিতেছে। এ ঘটনায় আমরা নিরূপায় হয়ে কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের শরণাপন্ন হই। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে গত ৪ জুন উক্ত জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করে। এতে প্রতিমা বালা নাথ আরো ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিক ভাইদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে। যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা-বানোয়াট সংবাদ। তাই আমরা প্রকাশিত সংবাদের তীব্র পতিবাদ জানাচ্ছি। উক্ত সংবাদে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য এলাকাবাসী সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে অনুরোধ জানাচ্ছি।

প্রতিবাদকারী
সৈয়দ আহমদ ও মহি উদ্দিন
সর্ব সাং- উলুবনিয়া, ডুলাহাজারা, চকরিয়া, কক্সবাজার।